Abul Kasham

2023-09-19

বোধিবৃক্ষ

বিহার রাজ্যের বুদ্ধগয়া শহরে, অশ্বত্থ গাছের নিচে দিনপঞ্জিকা মতে, বৈশাখী পূর্ণিমার রাতে আঁধার হতে ধরণী, নতুন আলোয় মাতে সেই শুভক্ষণে ধরাধামে, বোধির ফুল ফোঁটা সিদ্ধার্থের সিদ্ধিলাভে, […]
2023-09-19

সবকিছু ভালোবাসাময়

জোছনা আলোয় ভরে রাস্তার ল্যাম্পপোস্ট একটু অবসরে ফেসবুকে কথা পোস্ট প্রেমের আবাহনে চুপিচুপি নির্জনে মুখোমুখি বসি দুজন ভালোবেসে যাবে এ জীবন ভালোবেসে যাবে এ জীবন । […]
2023-09-19

আকাশ গাইছে গান

আকাশ গাইছে সুরে সুরে মন খারাপের গান থাকছি যত দূরে দূরে বাড়ছে অভিমান ।   প্রেমে পড়ে হৃদয় আমার অনেক ঘেমেছে আকাশ কুসুম স্বপ্ন দেখার খেলা […]
2023-09-19

হাসিমুখ

অবিরত যন্ত্রণাময় জীবনে হাসি খুব অমূল্য সম্পদ একটুখানি সুখের ছোঁয়ায় কেউ হয় খুশিতে গদগদ দম যতক্ষণ ততক্ষণই আমরা জরুরি কাজ সারি হাসিমুখের জন্যে সাধের বাইকটিও বিক্রি […]
2023-09-19

রঙে ভরা বৈশাখ

যাত্রাপালা দেখবো চলো বৈশাখী মেলায় রেশমী চুড়ি কিনবে তুমি চড়বো নাগরদোলায়।   একতারাতে রঙেঢঙে গাইবে বাউল গান নৌকাবাইচের সারিগানে আনন্দের তুফান ।   ছোটবেলায় শখ থাকে […]
2023-09-19

আমি কিছুই মিস করতে চাই না

চড়ুই কিচিরমিচিরে ঘুম ভাঙল দেখলাম চড়ুইদম্পতির ঘর সংসার আমি কিছুই মিস করতে চাই না ।   স্ত্রীর সাথে এক বিছানায় শোয়া সন্তানের আদরমাখা পরশ প্রভু আমি […]
2023-09-19

গাঁয়ের মেয়ে

কলসি নিয়ে গাঁয়ের মেয়ে জল আনিতে যায় বাঁকা চোখে মায়ামুখে আমার দিকে তাকায়। হাওয়ায় হাওয়ায় দোলা লেগে, উড়ছে খোলা চুল দেখলে তারে লাগে যেনো, সদ্য ফোঁটা […]
2023-09-19

সহবাস

মুখোমুখি বসে আছি, চুপচাপ দুজনে ঘরে আলো-আঁধারের খেলা পরিচয় নিশ্চয় হয়েছিলো বনভোজনে ফেলে আসা স্মৃতিতে কাটে বেলা ।   সম্মুখে খোলা বুক, পিছনে চুলের খোঁপা নৃত্যের […]
2023-09-19

কিছুই গোপন নেই

আদিম গুহা মানুষেরা আঁকতো ছবি মাটির দেয়ালে নগ্ন শরীরে জঙ্গলে ঘুরতো খুব বেখেয়ালে লজ্জাবীজ-সচেতনতা বোধের গভীরে গড়ালে যৌনবিদ্যার কলাকৌশল শেখা হলো লতাপাতার আঁড়ালে ।   বিচিত্র […]
2023-09-19

ভবের হাট

জাল বুনে মাকড়শা হরেক স্বপ্ন নিয়ে বেদে যেমন বাজায় বাঁশি খেলে সাপ দিয়ে দুনিয়া জুড়ে শান্তি খুঁজে শান্তিকামী মানুষ লড়াই ছাড়া হয় না কিছুই, হয় না […]
2023-09-16

ভূস্বর্গ বড়লেখা

পাথারিয়া পাহাড়ে তেল খুঁজে বার্মা গাছ চিনেন আমাদের দ্বিজেন শর্মা। হাকালুকি হাওরজুড়ে হাজার হাজার মাছ সুজানগরজুড়ে আছে আগর-আতর গাছ। সীমান্তের সুনাই নদী শান্ত বহে চলে ষাটমা […]
2023-09-15

শক্তি ও অনুপ্রেরণার উৎস মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক অধিকার আন্দোলনের অন্যতম প্রাণপুরুষ মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র দেহ নিয়ে বেঁচে ছিলেন মাত্র ৩৯ বছর অথচ আজও তিনি যেকোনো আন্দোলন সংগ্রামে প্রেরণার নাম, […]
2023-02-12

 ভ্রামণিক চোখে আইফেল টাওয়ার বইয়ের ফ্ল্যাপ

ভব তরঙ্গে বেশ আনন্দের সঙ্গে চলছে ভ্রমণ, স্থান পরিবর্তন মানেই জ্ঞান আহরণ। কর্মমূখর পথচলায় প্রয়োজনে যেতে হয় এক জায়গা হতে অন্য জায়গায়, সৃষ্টির এ অপূর্ব কারুকাজ দেখে মন সুখের গান গায়। হৃদয়ের দেয়াল টপকে চারপাশ দেখার প্রয়াস প্রতিনিয়ত চলমান, সহজ নয় কিছুই তাই ডিঙাতে হয় স্রোতের মতো ধেয়ে আসা সব ঝড়-তুফান। দেখাদেখি অতি কষ্টসাধ্য বিষয়, একই দৃশ্য একেকজনের বেলায় একেক রকমের হয়। ভিসার বেড়াজাল পেরিয়ে পা দিতে হয় ভিনদেশে, তখন উপলব্দি করে […]
2022-10-25

ভ্রামণিক চোখে আইফেল টাওয়ার-২

আয়রন লেডি খ্যাত প্যারিসের শা দে মারস (Champ de Mars, 5 Avenue Anatole, 75007 Paris, France 🇫🇷) এঅবস্থিত আইফেল টাওয়ারকে ফরাসিরা বলে লা তুর্‌ ইফেল্‌ (La Tour Eiffel)। আইফেল টাওয়ার পুরোটাই ধুমপানমুক্ত। এইসুউচ্চ লৌহ কাঠামো ফ্রান্সের সর্বাধিক পরিচিত প্রতীক হিসেবে বিশ্বে পরিচিত। আমেরিকার লাস ভেগাস (নেভাদা), মেক্সিকোরডুরাঙ্গো, চীনের শেনঝেন সহ পৃথিবীর বহু দেশে রয়েছে আইফেল টাওয়ারের প্রতিকৃতি। ১৯৩০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে ক্রাইসলার ভবন তৈরির পূর্ব পর্যন্ত আইফেল টাওয়ারই ছিলো পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু স্থাপনা। প্যারিস শহরে নির্মিতআইফেল টাওয়ারটি পৃথিবীর স্থাপত্য ইতিহাসে এক যুগান্তকারী ঘটনার জন্ম দেয়। ১৮৮৭ সালে ফ্রান্স সরকার যখন ফরাসিবিপ্লবের শর্তবাষিকী পালনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলো, তখন সেই আয়োজনকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য এই প্রতীকি মিনারটি তৈরিরসিদ্ধান্ত নেয়। ফরাসি স্থাপত্যের অনন্য নিদর্শন হলেও নির্মাণের শুরুতে ব্যাপক বাঁধার মুখে পড়তে হয় কর্তৃপক্ষকে। শহরেরসৌন্দর্য বিনষ্টের চক্রান্ত হিসেবে দেখা হয় বিষয়টিকে। প্যারিসের অধিবাসীরা মোটেও পছন্দ করেননি টাওয়ারটিকে। নির্মাণের পরেউঁচু এ স্থাপনাটি অনেকেরই চক্ষুশূল হয়ে দেখা দিয়েছিল। তারা একে শহরের অন্যান্য স্থাপনার সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ বলে মনেকরেছিলেন। এই উদ্যোগের বিরুদ্ধে ফ্রান্সের প্রথম শ্রেণীর শিল্পী ও বুদ্ধিজীবীগণ যথেষ্ট সমালোচনা ও নিন্দার ঝড় তোলেন। ‘এযেন এক দৈত্য-শহরের লজ্জা’ এমন সব বাণীতে রীতিমতো ‘আইফেল টাওয়ার হটাও’ আন্দোলন শুরু হয়ে গিয়েছিলো। শুরুতেএর কদর না বুঝলেও দিনে দিনে এর গুরুত্ব বেশ ভালোই বাড়ে ফরাসিদের কাছে। নির্মাণকালীন পরিকল্পনায় টাওয়ারটি নির্মিতহয়েছিল বিশ বছরের জন্য। বিশ বছর পর সেটি খুলে নেয়ার সেই পরিকল্পনা আর কার্যকর হয়নি৷ কারণ ততদিনে আইফেলটাওয়ারের খ্যাতি গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে৷ দলে দলে পর্যটকরা আসতে শুরু করেছেন এই লৌহ মানবী খ্যাত আইফেল টাওয়ারদেখতে। ১৯০৯ সালে প্যারিস শহর কর্তৃপক্ষ এই টাওয়ারটি রেখে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। আজ আইফেল টাওয়ার প্যারিস শহরের প্রধান আকর্ষণ হিসেবে গোটা বিশ্বে পরিচিত। আগাগোড়া লোহায় তৈরি হবার কারণেইস্থানীয় মানুষ এই টাওয়ারকে ‘আয়রন লেডি’ বা লৌহমানবী বলে ডাকেন ৷ সুউচ্চ এই মিনারটির উচ্চতা ৩২৪ মিটার অর্থাৎ১০৬৩ ফুট। শুরুতে ৩০০ মিটার উচ্চতায় বিশ্বে মানুষের তৈরি সবচেয়ে উঁচু কোনো সৃষ্টি ছিলো এই টাওয়ার ৷ ১৯৫৭ সালেটাওয়ারের চূড়ায় অ্যান্টেনা বসানোর পর উচ্চতা দাঁড়ায় ৩২৪ মিটার৷ এটি ৮১ তলা ইমারতের সমান উচ্চতা বিশিষ্ট। টাওয়ারেরভিত্তিটি বর্গাকৃতির। প্রতিটি বাহু ১২৫ মিটার অর্থাৎ ৪১০ ফুট চওড়া। আইফেল টাওয়ারের ওপরে তিনতলা বা স্তর পর্যন্তদর্শনার্থীরা যেতে পারে। প্রথম ও দ্বিতীয় তলাতে রয়েছে রেস্টুরেন্ট। তৃতীয় তলা পর্যন্ত উচ্চতা ২৭৪ মিটার অর্থাৎ ৯০৬ ফুট।৭,৩০০ টন ইস্পাত দিয়ে তৈরি হয়েছে এই টাওয়ার৷ ১৮,০৩৮ খণ্ড লোহার তৈরি বিভিন্ন আকৃতির ছোট-বড় কাঠামো জোড়া দিয়েএই টাওয়ার তৈরি করা হয়েছে। ৩০০ শ্রমিক এই নির্মাণ যজ্ঞে অংশ নেয়। আইফেল টাওয়ারের ওজন প্রায় দশ হাজার টন।টাওয়ারটিতে কোনো নির্দিষ্ট রং ব্যবহার করা হয়নি। আবহাওয়ার সঙ্গে লড়াই করার জন্য টাওয়ারটির উপরের অংশে কিছুটা গাঢ়রং ব্যবহার করা হয়। তবে নিচের দিকে ক্রমান্বয়ে হালকা রং ব্যবহার করা হয়। টাওয়ারটিকে মরিচার হাত থেকে রক্ষা করতে প্রতিসাত বছর পর পর রং করা হয়। এতে ৬০ টন রং ব্যবহার করা হয়, সম্পূর্ণভাবে রঙ করতে এক বছরেরও বেশি সময় লেগে যায়। ঋতুর ভিত্তিতে এর উচ্চতা পরিবর্তিত হয়। রড আয়রন দিয়ে নির্মিত হওয়ার কারণে টাওয়ারটির ধাতব পদার্থ বিভিন্ন ঋতুতেতাপমাত্রা পরিবর্তন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বড়-ছোট হয়। উষ্ণতার কারণে গ্রীষ্মকালে এর দৈর্ঘ্য বৃ্দ্ধি পায়। তাই সূর্যের তাপে দিনেরবেলা আইফেল টাওয়ারের আকার ৬.৭৫ ইঞ্চি বেড়ে যায়। ঝড়ো হাওয়ায় এটি সর্বোচ্চ ১৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত কাঁপতে পারে! ২বছর ২ মাস ৫ দিন সময়ে তৈরি হয় শহরের দৃষ্টিনন্দন এ সৌন্দর্য্যের প্রতীক। সেই সময়ে এই টাওয়ারের নির্মাণশৈলী, সিভিলইঞ্জিনিয়ারিং ও স্থাপত্যশিল্পের ক্ষেত্রে এক বিপ্লবের সূচনা করেছিলো। সেই সাথে আরেকটি প্রযুক্তিও বিকশিত হয় এই টাওয়ারনির্মাণের হাত ধরে তা হলো- ফটোগ্রাফি। টাওয়ারটি নির্মাণের সময় বহু ফটোগ্রাফার এর নির্মাণের বিভিন্ন পর্যায়ের ছবি তুলেরাখেন। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন জায়গায় ছবিগুলো প্রকাশিত হয় যা সেই সময়ে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করে। ১৮৮৭ সালের ২৮ জানুয়ারি শুরু টাওয়ারটির নির্মাণ কাজ। পিলার গুলো তৈরি হয় ১৮৮৭ সালের ১ জুলাই। ১৮৮৮ সালের ১এপ্রিল ফাস্ট ফ্লোর। ১৮৮৮ সালের ১৪ আগষ্ট সেকেন্ড ফ্লোর এবং ১৮৮৯ সালের ৩১ মার্চ মাত্র দুই বছর, দুই মাসে টাওয়ারটিরনির্মাণ কাজ শেষে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। এতো অল্প সময়ে নান্দনিক সুউচ্চ এ টাওয়ারটি নির্মাণ কাজহওয়ায় সকলের নজর কেড়েছিলো। এই টাওয়ারের নির্মাণ কাজটি পূর্তবিদ্যা ও স্থাপত্যশিল্পের ক্ষেত্রে এক বিপ্লবের সূচনাকরেছিলো। টাওয়ারটির চূড়া থেকে পুরো প্যারিস শহর এক নজরে দেখে নেওয়া যায়। দুই একর ভূমিজুড়ে বিস্তৃত টাওয়ারটিতেআছে অর্ধবৃত্তাকার চারটি তোরণ। টাওয়ারটির নিচ থেকে উপরে ওঠানামার জন্য রয়েছে ১,৬৬৫টি ধাপের সিঁড়ি। দর্শনার্থীদেরজন্য বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে রয়েছে ৫টি লিফট বা এলিভেটর। খুব দ্রুত সময়ে চূড়ায় ওঠার আধুনিক পদ্ধতি ১৯৮৩ সালেপর্যটকদের সুবিধার জন্য চালু হয়। লিফট স্থাপনের সময় টাওয়ারের সিঁড়ির বেশকিছু অংশ সরিয়ে ফেলতে হয়। এরপর এসিঁড়ির দু’টি খণ্ড প্যারিসের ওরসে মিউজিয়াম ও সিটি অব সায়েন্সেস মিউজিয়ামে রাখা হয়। এছাড়াও এই সিঁড়ির অংশ রয়েছেআমেরিকার নিউ ইয়র্কের ‘স্ট্যাচু অব লিবার্টি’র পাশে, ফ্লোরিডার ‘ডিজনিল্যান্ডে’, ও জাপানের ইয়োইশি ফাউন্ডেশনের বাগানে৷সংগ্রহে থাকা আইফেল টাওয়ারের সিঁড়ির অংশগুলো মাঝে মধ্যে আকাশচুম্বি দামে নিলামে ওঠে, পৃথিবীর ধনী শিল্পসংগ্রাহকেরা এসব নিলামে অংশ নেয়। সম্প্রতি এ রকম একটি অংশ তৃতীয় ও চতুর্থ তলার সংযোজক সিঁড়ি বিক্রয়ের জন্যপ্যারিসের বিখ্যাত উদ্যান শঁজেলিজেতে ফরাসি নিলামঘর আর্টক্যুরিয়াল ২০ দিন ধরে প্রদর্শনের পর নিলামে তোলে। নিলামসংস্থা আর্টক্যুরিয়াল ধারণা করেছিল এবার সিঁড়ির টুকরো বিক্রি হবে ৫০ হাজার থেকে ৬০ হাজার ডলারে। সবার ধারণা পাল্টেদিয়ে এক লাখ ৬৯ হাজার ইউরোতে এটি লুফে নেন মধ্যপ্রাচ্যের এক ক্রেতা। উত্তর দিকে পিলারের কাছে গুস্তাভ আইফেলের একটি ভাস্কর্য রয়েছে। পশ্চিম পিলারের কাছে রয়েছে তথ্যকেন্দ্র। টাওয়ার সম্পর্কেযাবতীয় তথ্য এখান থেকে দেয়া হয়। ভিজিটর ইনফরমেশন বুথের কাছে রয়েছে বুটিক প্রতিষ্ঠান “The Rendez Vous” লাইনেদাঁড়াতে গিয়ে ক্ষিধে পেলে হাল্কা খাবারের দোকান রয়েছে নিচে। বিভিন্ন রকমের পানীয় রয়েছে যা শিশুদের খুব প্রিয়। বিভিন্নরকমের সুভ্যেনীর এবং গিফট সামগ্রীর দোকান রয়েছে পূর্বদিকের পিলারের কাছে। নাম The Kiosk Boutique”। টাওয়ারটিকে দর্শনার্থীদের জন্য তিনটি স্তরে ভাগ করা দেয়া হয়েছে, প্রথম ও দ্বিতীয় স্তরে রয়েছে রেস্টুরেন্ট আর তৃতীয় স্তরে রয়েছেপর্যবেক্ষণাগার (Observatory Deck)। তৃতীয় স্তরের এই জায়গা হতে রাতের প্যারিস শহর অবলোকন করার অনুভূতিই যেনঅন্যরকম, এর মোহনীয় রূপে মুগ্ধ না হয়ে পারা যায়না, রীতিমত রোমাঞ্চকর। আলোকে আলোকময়, দৃষ্টিনন্দন চমৎকার সেদৃশ্য। একদল নামছে তো আরেক দল উঠে আসছে। সবাই প্যারিসের মোহনীয়রূপ ক্যামেরাবন্দি করায় তৎপর। চারদিকেঅনেকক্ষণ ঘুরে ঘুরে দেখলাম পুরো শহরটাকে। আলোয় ঝলমল করা সন্ধ্যার প্যারিস স্বপ্নের চেয়েও সুন্দর। ১৮৮৯ সালে এই টাওয়ার তৈরির সময় তার রূপকার গুস্তাভ আইফেল চেয়েছিলেন টাওয়ারের রং হোক লাল। তাঁর যুক্তি, লালরংয়ে মর্চে ধরবে কম। ১৮৯২ সালে এটির রং হয় হালকা কমলা। ১৮৯৯ সালে আইফেল টাওয়ারের তলার দিকে কমলা হলুদআর উপরের দিকে হালকা হলুদ রং করা হয়। ১৯০৭ থেকে ১৯৫৪ পর্যন্ত এটির রং হয় হলদেটে বাদামি। ১৯৬৮ সালে হয় বাদামিলাল। এখন টাওয়ার বিশেষভাবে তৈরি বাদামি রংয়ে সাজানো। প্রথম মহাযুদ্ধের সময় এ টাওয়ারটি বেতার তরঙ্গ সম্প্রচার করার কাজে ব্যবহৃত হয়েছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ফরাসিসেনাবাহিনী নাৎসি বাহিনীর আগমনের আগে এর লিফটের তার কেটে দিয়েছিল। নাৎসিরা যেন টাওয়ারটি ব্যবহার করতে নাপারে, সে জন্যই এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। ১৯৫৬ সালের ৩ জানুয়ারি টাওয়ারের ঊর্ধভাগ আগুনে পুড়ে বিনষ্ট হয়। ২০০৩সালের ২২ জুলাই টাওয়ারের সম্প্রচার কক্ষে আগুন ধরে যায়। ৪০ মিনিট পর সম্পূর্ণ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তাছাড়া ফরাসিবিপ্লবের শত বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে নির্মিত এই টাওয়ারটি আয়োজন শেষ হওয়ার ২০ বছর পর সেটি আবার খুলে নেয়ারপরিকল্পনা থাকলেও তা বাস্থবায়ন হয়নি। সকল প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে ১৩০ বছর ধরে স্বগৌরবে টিকে আছে এ লৌহ মানবী৷ বিশ্বসেরা পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে খ্যাতি পাওয়া আইফেল টাওয়ার, অর্থের বিনিময়ে দেখা স্থাপনার শীর্ষে রয়েছে। কালের পরিক্রমায়সৌন্দর্য্যের প্রতীক হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে বিশ্ব পর্যটকদের অন্তরে। অন্য স্থাপনাগুলোর তুলনায় এখানে প্রতি বছর বিশ্বেরসবচেয়ে বেশি দর্শনার্থী ঘুরতে আসে। প্রতি বছর এ টাওয়ার দেখতে ৭ মিলিয়ন দর্শনার্থী আসেন, যাদের ৭৫ ভাগই আসেনবিদেশ থেকে। এটি শুধু পর্যটনকেন্দ্রই নয় এখানে রয়েছে একটি সংবাদপত্র অফিস। এছাড়াও এতে রয়েছে পোস্ট অফিস, বৈজ্ঞানিক গবেষণাগারও থিয়েটার। ২০০৪ সাল হতে প্রতি বছর টাওয়ারের প্রথম তলায় আইস স্কেটিং খেলার আয়োজন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ১৯২১ সালে ফ্রান্সের প্রথম পাবলিক রেডিও সম্প্রচারও শুরু হয়েছে এই টাওয়ার থেকে। রেডিও সম্প্রচার ও পর্যবেক্ষণ টাওয়ারহিসেবেই বর্তমানে ব্যবহৃত হচ্ছে আইফেল টাওয়ার। কখনও নিরাপত্তাজনিত কারণে, কখনওবা রক্ষণাবেক্ষণের কাজে আইফেল টাওয়ার বেশ কয়েকবার পর্যটকদের জন্য বন্ধ রাখাহয়। […]
2022-10-22

ভ্রামণিক চোখে আইফেল টাওয়ার

ভ্রামণিক চোখে আইফেল টাওয়ার ।। ~ যাপিত কোলাহলের রঙ মেখে ভ্রামণিক চোখ শুধু দেখে আর শেখে… শিল্প-সাহিত্যের তীর্থভূমি ফ্রান্সে যখন পা রাখলাম এক অন্যরকম শিহরণ অনুভূত […]
2022-10-22

দয়াল মাওলা

দয়াল মাওলা মন-প্রাণ সঁপেছি মাওলা মন-প্রাণ সঁপেছি মাওলা সব কিছু তোমার তরে একটু আলো দাও গো মাওলা আমারই মনের ঘরে ।। সত্য-সরল পথের খোঁজে কাটে সারাবেলা […]
2022-10-22

মৃত্যুকে করি অবহেলা

‘কুল্লু নাফসিন যায়িকাতুল মউত’ প্রত্যেক আত্মাই মৃত্যুর স্বাদ ভোগ করবে। জানি, আমি চলে যাবো চিরনিদ্রার দেশে কোনো একদিন নিদ্রাযাপনের সুখাবেশে নতুন কোনো সুখস্বপ্ন দেখার রেশে ! […]
2022-10-14

রেল লাইন

হৈমন্তিক শিশির ভেজা ভোরে শুভ্রতার গন্ধ গায়ে মেখে শৈশবে বাড়িতে বসে গণনা শেখা লাতুর ট্রেন দেখে দেখে রেল লাইন বহে চলে এক দেশ হতে অন্য দেশে রেল লাইন ধরে রানা পাগলার অবিরাম হেঁটে চলা রেল লাইন ধরে বাল্য বন্ধুর সাথে স্কুলে যাওয়া রেল লাইন ধরে হাতে হাত রেখে প্রিয়জনের সাথে কথা বলা রেল লাইন যতখানি পেরেছে কে আর পেরেছে তত দিতে ! রেল লাইন ধরে গন্তব্যে ছুটে চলে রেল গাড়ি গন্তব্যহীন পথে ছুটে চলে দিচ্ছি জীবন পাড়ি ভালোবেসে কেউ কাছে টানে কেউবা ঠেলে দেয় দূরে বাঁশি বাজে কখনো আনন্দ কখনো বিষাদের সুরে লাল রঙা মাল গাড়ি রেল লাইন ধরে ছুটে চলে ভেতরটা পূর্ণ না ফাঁকা অহরহ দ্বিধায় ফেলে রেল লাইন বহে চলে এক দেশ হতে অন্য দেশে রেল লাইন যতখানি পেরেছে কে আর পেরেছে তত দিতে !
2022-10-14

কিচ্ছা

শরীর থাকলে জ্বালা যন্ত্রণা থাকবে, এই সত্য জেনে পথ হাঁটতে হয়। সকল ক্লান্তি দূর করে দেন প্রভু প্রজ্ঞাময়। জ্বরের প্রভাবে শরীর হয়ে পড়ে দূর্বল ! মনের […]