সেইন তীরে স্মৃতির পাহাড় জমছে
যাপিত কোলাহলে কেবলই আয়ু কমছে!
হাজীর গ্যারেজ হতে পাশেই ছিলো নিমাইর পুল
বিগত কতো সন্ধ্যায় সেখানে ফোটেছে কথার ফুল
আহারে লাতুর রেললাইন, আহারে রঙচঙা সময়
এই কিছু দিন ফুরোতেই হয়ে গেলো সবই স্মৃতিময়!
জানে ষাটমা জানে শান্ত হাকালুকি
জানে শুভলং তুমি-আমি আনন্দমুখী
জানে মাধবছড়া জানে সীমান্তের সুনাই
দুজন এক হলে ঘড়ির কাঁটা ভুলে যাই
জানে খাসিয়া পুঞ্জি জানে ভোরের শিশির
মন্ত্র তো একটাই চলার পথ হউক পরম স্বস্তির।
জানে আকাশে ডানা মেলে উড়ে চলা চিল
জানে ‘আল্লারবাড়ি’ জানে ‘মছদ্দর মঞ্জিল’
তোমার-আমার মিল কিংবা যতো অমিল ।
পাতাকুঁড়ি জানে পাথারিয়া জানে
নতুনত্ব যেহেতু তারাই বয়ে আনে
জানে কক্সবাজার জানে বিয়ানীবাজার
আর জানে টিভিএস ভিক্টর-ইয়ামা ফেজার
রোদ পোহানো স্মৃতি রয়েছে গো হাজার হাজার
জানে আতপ চাউল জানে বিরইন ভাত
জানে ঘরের সুস্বাদু ডাইল জানে শীতের রাত
সুখের রেশ পেতে আমরা কতোখানি কুপোকাত।
ও সাথী সেইন তীরে করো আনন্দে মাতামাতি
একদিন কোনো একদিন চলে যাবো সাড়ে তিনহাত নীড়ে
খোঁজার প্রয়োজন নেই থাকবো তোমার স্মৃতির ভিড়ে।