‘কুল্লু নাফসিন যায়িকাতুল মউত’
প্রত্যেক আত্মাই মৃত্যুর স্বাদ ভোগ করবে।
জানি, আমি চলে যাবো চিরনিদ্রার দেশে
কোনো একদিন নিদ্রাযাপনের সুখাবেশে
নতুন কোনো সুখস্বপ্ন দেখার রেশে !
আমার প্রজাপতি মন, ফুলের গন্ধ গায়ে মাখতে মাখতে
উড়ে যাবে, দূরে কোথাও দূরে দূরে…।
এসেছি তাই যেতেই হবে, আমার মন জানে
সাড়ে তিন হাত মাটি আমায় নিত্যসময় টানে
তেল ফুরালেই আটক আমি জানি দয়াময়
আসা-যাওয়ার মধুর খেলায় কতো লীলা হয়।
জোছনামাখা কিংবা কোনো অন্ধকারাচ্ছন্ন রাত
যা ইচ্ছা তাই থাক
আমার মৃত্যুস্বাদে এলাহী আলামীন প্রভু প্রজ্ঞাময়ের কাছে চাওয়া…
আসবে মালাকূল মউত, আমি থাকবো ঘুমের আঁড়ালে
হেসেই স্বাগত জানাবো, সে হাত বাড়ালে
পৃথিবীর যতো বাদ্যযন্ত্র একসাথে বেজে উঠবে সুরাবেশে
সুরের দরিয়ায় ভাসতে ভাসতে আমি চলে যাবো না ফেরার দেশে।
কোনো মানব কান্না কামনা করি না
স্বজনের শোক প্রত্যাশা করি না
প্রভু প্রজ্ঞাময়ের কাছে চাওয়া …
পরম মমতায় একটুখানি কাঁদবে আকাশ
প্রকৃতিজুড়ে বইবে একটু শোকের বাতাস
ভেজা ভেজা দিন সূর্য থাকবে মন ভার করে
স্নিগ্ধতার গন্ধ গায়ে মেখে, আমি চলে যাবো আসল-আপন ঘরে।
‘বিসমিল্লাহি ওয়াআলা মিল্লাতি রাসূলিল্লাহ’
জপে জপে রাখবে মাটির কোলে
মাটিই হবে শেষ আশ্রয়
শেষ হবে ধামে থাকা সকল ভয়
ডানে মাটি, বামে মাটি, মাটিই হবে বিছানা
উপরেতে বাঁশের ছাউনি আমার মধুর ঠিকানা
বন্ধু-স্বজনেরা আপন হাতের মুষ্টি ভরে
মাটি দেবে পড়ে পড়ে
‘মিনহা খালাকনাকুম ওয়া ফীহা নুঈদুকুম
ওয়া মিনহা নুখরিজুকুম তারাতান উখরা’।
আমার আনন্দেই কাটে সারাবেলা
ভাবনাজুড়ে মৃত্যুর খেলা
মৃত্যুকে করি অবহেলা
বৃষ্টি শেষে গোলাপ পাঁপড়িতে লেগে থাকা জলের মুগ্ধতায়…