পাথারিয়া পাহাড়ে তেল খুঁজে বার্মা
গাছ চিনেন আমাদের দ্বিজেন শর্মা।
হাকালুকি হাওরজুড়ে হাজার হাজার মাছ
সুজানগরজুড়ে আছে আগর-আতর গাছ।
সীমান্তের সুনাই নদী শান্ত বহে চলে
ষাটমা ছড়ার স্বচ্ছ জল কত কথা বলে!
মাধবকুণ্ড ঝর্ণাধারায় বইছে জলরাশি
আঁকাবাঁকা মাধবছড়া কত্তো ভালোবাসি!
পূর্ণিমাতে জলপরীরা পরিকুন্ডে নাচে
নৈসর্গিক ছায়াঘেরা বোবারতল গ্রাম আছে।
বর্ষা এলে পাহাড়ি রূপ মেলে ধরে চারপাশে
ডিমাইর পাশের ঝর্ণাগুলো আনন্দেতে হাসে।
খাসিয়া পুঞ্জির আদিবাসী পানের জুমচাষি
পান সুপারি খেয়ে সবার মুখে রঙিন হাসি।
সমনভাগের বেকীর লেকে ঘুরতে লাগে ভালো
লঘাটির খোঁজার মসজিদ ঐতিহ্যের আলো।
দাসেরবাজার সুনাম পেলো শীতলপাটি বুনে
মণিপুরী তাঁতের খ্যাতি ছড়ায় আপন গুণে।
দুটি পাতা একটি কুঁড়ির সবুজ শ্যামল চা বাগান
উৎসবেতে সাঁওতালিরা আপন রঙে গায় গান।
আউলিয়ারা প্রমাণ করেছেন এই মাটি খাঁটি
বড়লেখায় সবই আছে, আছে উজান-ভাটি।
মাধবেশ্বর তীর্থভূমে চৈত্রের মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশী তিথিতে
পুণ্যস্নান, বারুণী মেলা জমে উঠে হিন্দু-মুসলিম প্রীতিতে।
একাত্তরের রণাঙ্গনে লেখা আছে বড়লেখার নাম
এই মাটির সন্তানেরা জ্ঞানের রাজ্যে কুড়াচ্ছে সুনাম।
পাহাড় নদী সবই দিয়ে রূপেগুণে মাখা
বাংলা মায়ের সীমারেখায় ভূস্বর্গ বড়লেখা।