আদিম গুহা মানুষেরা আঁকতো ছবি মাটির দেয়ালে
নগ্ন শরীরে জঙ্গলে ঘুরতো খুব বেখেয়ালে
লজ্জাবীজ-সচেতনতা বোধের গভীরে গড়ালে
যৌনবিদ্যার কলাকৌশল শেখা হলো লতাপাতার আঁড়ালে ।
বিচিত্র মানসিকতা সঙ্গী করে, মানুষ ঘুরে জগতময়
মুখোশে ঢাকা মুখে, সংসারে চলে নিত্য অভিনয়
আত্মহত্যা চিরকুটে লিখে সকলে ‘আমার মৃত্যুর জন্যে কেউ দায়ী নয়’
বেঁচে থাকার সাধ যে ছিলো, এমন কথার ভেতর দিয়ে প্রমাণ হয়।
মানবের চেয়ে মাঝে মাঝে দানব বেশ ভালো কাজ করে
বেহায়া-বেশরম লোকেরা চেয়ে চেয়ে তা দেখে, খুব মন ভরে!
ধর্মের দোহাই দিয়ে, অমানবিক কর্ম চলে ঘরে
বন্দীশালায় পীড়ন চলছে, কালের নির্জন স্বাক্ষরে ।
সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি চলে আকাশ-বাতাস-সমুদ্র-পাহাড়-পর্বত-স্থল-জলাবনে
রঙের ফানুশ উড়ায় মানুষ, মহা চিন্তাজাগতিক মনে
প্রত্যহ আশার সঙ্গে বাঁচি, মিথ্যে সব প্রলোভনে
কিছুই গোপন নেই, প্রভু নিরঞ্জনের একেলা খেলা ত্রিভুবনে ।
পরাজয় কিংবা দুর্বলতা ঢাকার চেষ্টা চলে আপ্রাণ
সব মানুষের মুখে লেগে আছে মায়ের দুধের ঘ্রাণ।