শরীর থাকলে জ্বালা যন্ত্রণা থাকবে, এই সত্য জেনে পথ হাঁটতে হয়। সকল ক্লান্তি দূর করে দেন প্রভু প্রজ্ঞাময়। জ্বরের প্রভাবে শরীর হয়ে পড়ে দূর্বল ! মনের শক্তির সঙ্গে খাদ্য শক্তির সহায়তায় আসে কর্মবল। সমাজে ঘেরা নানা সমস্যার বেড়াজাল ডিঙানো কঠিন। কঠিনেরে ভালোবেসে পথ চলতে পারলে বাজানো যায় সুখের বীণ। অসহ্য দাঁত ব্যাথার মুশকিলও আসান হয় ঔষধের জোরে। যেকোনো যন্ত্রণার রেশ মন-শরীরের চারিদিকে ঘুরে। রোগ, শোকের বাতাস ছড়ায়। বিশ্বাসীদের প্রভুর নামও পড়ায়। ভূমিকম্পে ভয় থাকলেও নিয়মিত সবকিছুই মানুষ সহজে হজমে নেয়। ভূ-কম্পন এখন দুঃখের সাথে রসিকতারও জন্ম দেয়। মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও চলছে হরেক ফন্দি-ফিকিরে মানুষের দিনাতিপাত। সৃষ্টির উৎসে মানুষ জানান দিয়েছে তারা নির্দেশ অমান্যের জাত। পাপ-পুণ্যের হিসাব তুমি-আমি করতে বসলে আটকে যাবো ! নিশ্চয়ই একমত হবে পাপের পাল্লা ভারী পাবো। চোখ রাখি পবিত্র বইয়ের পাতায়। পরম করুণাময় ক্ষমা রেখেছেন দয়ার খাতায়। চলো দয়াময়ের কাছে চাই বিনয়ে-মমতায়। রাব্বানা ফাগফিরলানা যূনুবানা ওয়া কাফফির আন্না সাইয়্যি আতিনা ওয়া তাওয়াফফানা মা’আল আবরার । (হে আমাদের প্রতিপালক, তুমি আমাদের পাপ ক্ষমা করো, আমাদের মন্দ কাজ হতে রক্ষা করো এবং আমাদের সৎকর্মপরায়ণদের সহগামী করে মৃত্যু দিও।) আয়াত-১৯৩ সূরা- আলে ইমরান। আকাশ কিংবা সমুদ্রের চেয়ে মানুষই কষ্ট দেয় বেশি। তবুও মানুষের সাথেই সর্বসময় মিশি। জলের সাথে হিজলের লড়াইয়ে প্রেরণা-সাহসের মন্ত্র পাই। তাই চলার পথে হৃদিমূলে সুকর্মের বীজ দৃঢ়ভাবে বুনে যাই। চোখের উপর চোখ বন্ধু রাখো হাতের উপর হাত নিঃশ্বাসের বিশ্বাসে আসবে রাঙা প্রভাত, নিঃশ্বাসের বিশ্বাসে আসবে সুখের প্রভাত।