আকাশ হতে শাদা তুলা ঝরছে এমন মায়াময় দৃশ্য দেখছি তুমি-আমি । আমাদের কথোপকথনে অবশ্যই উপস্থিত থাকেন অন্তর্যামী। সকল দূরত্ব ভাটা পড়ে। দু’হৃদয় তুমুল প্রেমে নড়ে। যখনই একটুখানি মন খারাপ ভর করে, তখনই কণ্ঠসুরে মুগ্ধতায় ডুব দেয়ার চেষ্টা চলে। কোনো সন্দেহ নাই পরিশ্রমী মনোবলে, আমরা আনন্দ-আলোর পথযাত্রীর দলে। কথার গাঁথুনিতে স্বপ্ন থাকে, স্মৃতিতে ফেরাও থাকে। আহা! আগামীর পথচলায় মন, রঙতুলিতে সুখ আঁকে। একদা যখন ছিলে লুব্ধকনগরে তখনো ছিলো মূখরতা । আজ হয়তো বয়সের পূর্ণতায় কথায় কথায় জমে স্মৃতি কাতরতা । সবুজের গালিচায় বুনেছিলাম স্মৃতির রুমাল। আজ তো আমাদের হতেই হবে একটু বেসামাল! কতোশত নিশি ফুরিয়ে গেলো, রঙের ছলাকলায় ।
মুখর হৈচৈ-এ আরো যাবে, অতীত হতে বোঝা যায়। আমরা তো মেতে আছি গো অর্থের লীপ্সায়! অথচ ব্যস্ততার ভিড়ে ভাবার সুযোগই হয় না, দুপাশে রয়েছে কিরামান-কাতিবিন। দয়াময় মেহেরবান মাওলার কাছে জবাবদিহি হতে হবে একদিন। একটু সচেতন হই। এসো পড়ি পবিত্র বই। “কিরামান-কাতিবিন। ইয়ালামূনা মা-তাফআলূন। ইন্নাল আবরারা লাফী নাঈম । অইন্নাল ফুজজারা লাফী জাহীম।” আয়াত ১১-১৪ সূরা ইনফিতার । (তাঁরা সম্মানিত লেখক। যাঁরা তোমাদের কৃতকর্মসমূহ প্রতিনিয়ত লিখছে । পুণ্যাত্মারা থাকবে সুখে। আর পাপাচারীরা থাকবে জাহান্নামে।) ধরাধামে প্রশান্তির খোঁজেই তো চলছে এতো আয়োজন। সবার শ্লোগান একই, অন্যের তরে বেঁচে থাকা প্রয়োজন! শুনে রাখো, ইহকালে কেউ নিজের জন্য কিছু করে না! সকল নেয়ামত ভোগ করেও কারো মন ভরে না! দূর বাদ দাও তো এত্তো এত্তো সব জ্ঞানের কথা! এতো হিসাব মেনে কোনোদিন চলিনি, শিখিনি লাভ-ক্ষতির নামতা। চলো দু’হৃদয় আবুল কাসেমের কথায় তৃপ্ত করি। আর সকল ব্যথা-বেদনা ভুলে সত্য-সুপথ ধরি।
অপেক্ষায় সময় কাটে কেউ কল করবেন
কথোপকথনের ফাঁকে চলে অর্থের লেনদেন!
শাদা শাদা মায়াবি জমাট জল
গাড়ি থেকে নেমে কুড়িয়ে আনি
তোমাকে দেখাবো বলে
দেখো নিখুঁত দৃষ্টিতে পুণ্য পানি!
কথা তো প্রতিনিয়তই হয়
স্বপ্ন বুনে যাই হবে জীবনের জয়
পরমানন্দে ফিরবে মন; ফিরবেই জানি
সুখের ছোঁয়ায়ও ঝরে নয়নের নিমকি পানি!