আল জাজিরা:
জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় বলেছে, গাজার জাবালিয়া শরণার্থীশিবিরে ইসরায়েলি বিমান হামলার ঘটনা যুদ্ধাপরাধ বলে বিবেচিত হতে পারে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার–বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স হ্যান্ডলে দেওয়া এক পোস্টে এসব কথা বলা হয়েছে।
ঘনবসতিপূর্ণ জাবালিয়া শরণার্থীশিবিরে গত মঙ্গলবার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসরায়েল। এরপর গতকাল বুধবার সেখানে দ্বিতীয়বারের মতো বোমা হামলা চালানো হয়।
গাজা সরকারের গণমাধ্যম শাখা বলেছে, জাবালিয়া শিবিরে ২ দিনের হামলায় অন্তত ১৯৫ জন নিহত হয়েছেন ও শতাধিক নিখোঁজ আছেন। এ ছাড়া এই ২ হামলায় ৭৭৭ জন আহত হয়েছেন।
এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক টুইটার) জাতিসংঘের মানবাধিকার–বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় থেকে দেওয়া এক পোস্টে বলা হয়, ‘জাবালিয়া শরণার্থীশিবিরে ইসরায়েলি বিমান হামলার ঘটনায় যত বেশিসংখ্যক বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে এবং যে মাত্রার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তাতে আমরা গুরুতরভাবে উদ্বিগ্ন। এ ধরনের নির্বিচার হামলার ঘটনা যুদ্ধাপরাধ হিসেবে গণ্য হতে পারে।’
জাবালিয়া শরণার্থীশিবিরে হামলার নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেন, গাজায় ক্রমবর্ধমান সহিংসতা নিয়ে গুতেরেস মর্মাহত।
জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ এ হামলাকে ভয়াবহ ও মর্মঘাতী বলে উল্লেখ করেছে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা আন্দোলনের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। সেদিন থেকেই গাজায় নির্বিচার বোমা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ৭ অক্টোবর থেকে চলা ইসরায়েলি হামলায় ৮ হাজার ৭৯৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে বেশির ভাগই নারী ও শিশু।
ইসরায়েল জানিয়েছে, হামাসের হামলায় ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।